মরলেই কি মানুষ বেঁচে যায়? 

মরলেই কি মানুষ বেঁচে যায়? 

প্রশ্নটা শুনতেই খেঁকিয়ে উঠল ভ্যানওয়ালা। অন্ধকারে ভ্যান চালাতে চালাতে বিরক্ত মুখে জবাব দিল। তার সহযাত্রীদের কাছ থেকে সমর্থন আশা করেছিল সে। যাত্রী আমরা মাত্র চার জন।  কে জানি আত্নহত্যা করেছে। সেটা নিয়েই সে কথা বলছিল। হঠাত এ ধরণের প্রশ্ন আশা করে নি সে। 

আচ্ছা মরলেই কি মানুষ বেঁচে যায়? কি হয়? 

এ প্রশ্নটা মাঝে মাঝেই করি আমি। প্রতিদিন আশেপাশে কেউ না কেউ মরে। কত ধরণের মানুষ। শিশু, বৃদ্ধ, যুবক, যুবতী, কৃষক, ভিক্ষুক কত ধরণের মানুষ। সবাই মরে। 

ঘুম থেকে উঠে দাঁত ঘষতে ঘষতে পুকুরের পাশে এসে দাঁড়াই । ওপারে বাঁশবাগান। পাশে সারি সারি অনেকগুলো কবর সেখানে। প্রতিদিন দেখি। মাঝে মাঝে গুণে দেখি। মাঝে মাঝে একটা বাড়ে। কখনো আবার দিনে দুইটা। 

সেদিন ওরা এক বৃদ্ধের কবর খুঁড়ছিল। পাশের সুপারি গাছটায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি । ওরা কেউ পেশাদার নয়। এই গ্রামেরই মানুষ। কেউ কৃষক কেউ মজুর। মুখে সিগারেট ধরিয়ে কোদাল দিয়ে মাটি কোপাচ্ছে। আরেকজন বসে দম নিচ্ছে। গল্প শুনাচ্ছে সে। ভয়ের গল্প। কারও মৃত্যুর গল্প নয়। গভীর রাতে বাজার থেকে ফেরার পথে বাঁশ হেলানোর গল্প। পুরাতন গল্প। 

আচ্ছা ও কি কখনো মৃত্যুর পরের গল্পটা করে? জানে কিনা। একবার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হল। মুনকার নাকীরের প্রশ্নোত্তরের খবর জানার কথা। ইমাম সাহেব মাঝে মাঝেই আলাপ করেন। কবরের প্রশ্নোত্তর, হাশর, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম। অল্প কিছু গৎবাঁধা খবর। কখনো জুমআর নামাজে, কখনো বা জানাযার আগে দুই চার কথা। এটা ওদের জানার কথা। শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। মাঝে মাঝে শুনে। কিন্তু অন্তরে দাগ কাটে না। এসব গল্প আরেকজনকে রসিয়ে রসিয়ে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বলা যায় না। 

মাঝে মাঝেই প্রশ্ন জাগে? মৃত্যুই কি জীবনের শেষ? তাহলে কিসের জন্য ছুটছি আমরা? 

টিভিতে খবরগুলো এখন আর ভয় জাগায় না মানুষের মাঝে। তবুও খবর পাঠিকা খবর পড়ে যায়। অবলীলায় দিয়ে যায় মৃত্যু সংবাদ। আজ এত জনের মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় এত জন মরেছে। অমুক নেতা চিরশায়িত হয়েছেন। ভুট্টাক্ষেতে অজ্ঞাত এক লাশ পাওয়া গেছে। কিংবা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিল গৃহবধূ। 

কত রকমের জীবন। জন্মগুলো এদের কত বিচিত্র ছিল। বেড়ে উঠাগুলো ভিন্ন ছিল। কারও জীবন কেটেছে রাস্তায়। কেউবা গ্রামে গ্রামে কাধে করে  হাড়ি পাতিল বেচত। কেউবা প্রতিদিন সকালে কফি হাতে পুকুরের দিকের জানালা খুলে রোদেলা ঢেউগুলো উপভোগ করত। অথচ শেষটা ওদের একই, মৃত্যু। 

এলাকার বড়ভাই, নেতা মানুষ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। মাঝে মাঝেই কাধে হাত রেখে বলেন, ‘বুঝলি, ক্ষমতা ছাড়া দুই পয়সার দাম নাই। টাকাও এমন। কোন সমস্যা হলে আসবি আমার কাছে, একটা ফোন কল করব, কাজ হয়ে যাবে।’ 

তারপর। তারপর আর কি ! কোন সমস্যা হলেই ভাইয়ের কাছে ছুটি। ভাই চেষ্টা করেন, আর বলেন, এটা কোন ব্যাপার না। 

অনেকদিন থেকে সেই বড়ভাইকে দেখি না। খোঁজ নিয়ে শুনেছি, মেয়াদ শেষ হবার কয়দিন পরেই নাকি নতুন ক্ষমতাধরেরা নাকি ভাইকে এলাকাছাড়া করেছে। আমি ভাবতে থাকি, ‘আহা! ক্ষমতা!’ কয় বছর? দুই? চার দশ বিশ কিংবা পঞ্চাশ? 

মাঝে মাঝে মোড়ের টঙয়ের দোকানে বসে গল্প করেন এক চাচা। শরীর লিক লিকে, রুগ্ন, দাদা বলা উচিৎ। কিন্তু ভয়ে কেউ বলি না আমরা। দাদা বললে খেপে যান।  চাচার গলার জোর আছে। দিনের বেশীরভাগ সময় টঙে বসে গল্প শোনান। তার পালোয়ানগিরির গল্প। আশেপাশের দশ গ্রামে তার মত আর একজনও ছিল না। লাঠালাঠি লাগলে তাকে হায়ার করত। ডাক পেলেই ছুটে যেতেন। বলেন, আরে! টাকার জন্য যেতাম নাকি! 

অনেক সময়ই চাচা একা বাড়িতে যেতে পারেন না। তার ছেলের বউ আসেন, দুনিয়ার কাজ ফেলে গজ গজ করতে করতে হাত ধরে নিয়ে যান। আমি তাকিয়ে থাকি। কয় বছরের ব্যবধান! কোথায় গেলো সেই শক্তি। একটাই তো শরীর? এর আবার বড়াই কিসের। কদিন পরেই আবার সেই শরীরটাও আবার হাতছাড়া হয়ে যাবে। শরীর আছে, মালিক নাই। দামও নাই। আর কেউ রাখতে চায় না। 

তাহলে ক্ষমতার এত সব বাহাদুরি কি মিছে? শক্তির কি কোন মূল্য নেই? মৃত্যুই কি সব কিছুকে নিঃশেষ করে যায়? 

প্রশ্নগুলো করতে গিয়েও আমি করি না। তবুও প্রফেসর সাহেব হাসেন। বলেন, মেধাবী মানুষ তুমি, তার উপর আবার সায়েন্সের ছাত্র? তুমি এসব উদ্ভট চিন্তার মাঝে পড়ে গেলে কেন? যুবক বয়স। গোল্ডেন পিরিয়ড অব লাইফ। সদ্ব্যবহার কর, ইয়ং ম্যান। পিএচডি করো, বিদেশ যাও, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরী করো। জীবনটাকে কাজে লাগাও। 

স্যারের কথায় আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি। অনেকে দেশেই জ্ঞানের চাষ করি, অনেকে রপ্তানিও করি। আমি অবশ্য কদিন পরে উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। আবার স্যারের কাছে যাই। মাঝে হঠাত স্যারের বিমর্ষ মুখ দেখে চমকে উঠি। হাসিখুশি মুখ কি গোমরা দেখতে ভালো লাগে? 

স্যারের সবচেয়ে সেরা ছাত্র মারা গেছেন। নাসার ইঞ্জিনিয়ার। আমেরিকার সেরা সেরা লোকজনকে হারিয়ে অনেকগুলো এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। দেশেও অনেক নামডাক। লাশ দেশে আসবে আগামী সপ্তাহে। প্রফেসর আফসোস করে বললেন,  এ গ্রেট লস, মাই বয়। এ গ্রেট লস। 

আমি ছেলেটার সফলতা নিয়ে ভাবি। দুই দিন আগের কথা ভাবি। এলাকার বখে যাওয়া ছেলেটার বাবাও আঙ্গুল দিয়ে দেখাতেন, দেখ, আমাদের গর্ব । পাশের বাড়ির আনটি গল্প করেন, বুঝলেন ভাবি, কি আর বলব। এক কথায় সোনার ছেলে। 

 আচ্ছা, সোনার ছেলেটা কোথায় হারিয়ে গেলো। এত বছরের অর্জিত জ্ঞ্যান গুলোর কি হবে, আর অভিজ্ঞতাগুলো? অভিজ্ঞতা তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। সার্টিফিকেট আর এওয়ার্ডগুলো? কদিন হয়ত মা আগলে রাখবেন। তার পর সময়ের স্রোতে এসব হারিয়ে যাবে। কেউ খোঁজ করবে না এসবের। নতুন স্টারের উদয় হবে। তার দিকে আঙ্গুল তুলবে সবাই, ঐ যায় আমাদের দেশের একটা সোনার ছেলে। 

আচ্ছা, এই ছেলেগুলোই তো ত্রিশ চল্লিশ বছর পরে মরে যাবেই। তখন হয়ত তারা বৃদ্ধ হবে। তাদের কেউ হবে ডায়াবেটিসের রোগী, কেউ হৃদরোগ, কেউবা দাঁতের ব্যাথা, বাতের ব্যাথার রোগী হবে। তারপরে হঠাত একদিন তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে। তখন আর কেউ এখনকার মত আফসোস করবে না। এখনকার মত আবেগ দিয়ে বলবে না, এ গ্রেট লস মাই বয়। এ গ্রেট লস। 

কেউবা আবার দাঁতে দাঁত চেপে বেঁচে থাকবে। দাঁতগুলো হয়ত পরে যাবে, হাঁটাচলার শক্তি হারিয়ে যাবে, খুনখুনে বুড়ো কিংবা বুড়ি হবে। রোগেরাও হাঁপিয়ে উঠবে। আর ছেলে কিংবা নাতিপুতিরা কিংবা তাদের বউয়েরা হয়ত অস্ফুটে বলবে, বুড়ো মরে না কেন। তারপর। তারপর একদিন তারা হাফ ছেড়ে বাঁচবে। কেউ হয়ত আর বলবে না, এ গ্রেট লস। 

ত্রিশ চল্লিশটা বছরই তো মাত্র। একদিন দুদিন করে কোনদিক দিয়ে চলে যাবে। তাতেই কত পার্থক্য! মূল্যবানকে করে যাচ্ছে মূল্যহীন। জীবনের এত এত শ্রমের তাহলে কি কোন মূল্য নেই? মৃত্যুই কি তাহলে জীবনের উদ্দেশ্য? 

জীবন কি এতই সহজ! কত জটিল জীবন আমাদের। একটা বাচ্চা জন্ম নিলে কত খুশি পিতামাতার! এক অদ্ভুত সম্পর্ক তাদের। এই বাচ্চাকে বড় করে তোলার দায়িত্ব তার। নিজে না খেয়ে হলেও! কি অদ্ভুত টান। এ কি অর্থহীন? 

তারপর আমরা বুঝতে শিখি! কেউ ভালো কাজ করি, কেউ বা মন্দ। দুটো কি সমান হতে পারে? আচ্ছা ঐ দরিদ্র সৎ লোকটি সারাজীবন মানুষের উপকার করে মরে গেলো। আর টাকা ওয়ালা কিপটা লোকটা সারাজীবন মানুষের পিছনে লেগে ছিল, এক সময় পটল তুলল। ওরা কি সমান? মৃত্যুই কি ওদের সমান করে দিলো? 

আমার কথা মন দিয়ে শোনেন মৌলবি সাহেব। আমার কত উদ্ভট প্রশ্ন শুনেও তিনি মুচকি হাসেন। আমার মত এই শান্ত মানুষটাও তার স্থিরতা দেখে অস্থির হয়ে উঠি। ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে বলি, তাহলে কি মূল্য জীবনের? মৃত্যুই বা কি? 

উনি হাসেন। বলেন, তুমি তো বুদ্ধিমান ছেলে? ভেবে বের করতে পারও না। চারিদিকে এ বিশাল সৃষ্টিরাজি, এই আসমান, এই জমিন, এই মানুষ, প্রানী, গাছ পালা বৃক্ষরাজি! এত কিছু দেখ। ভাবতে পারো না। আমি তো অজ্ঞানী মানুষ। তোমরা তো বিজ্ঞানের ছাত্র। ভারসাম্য খুঁজে পাও না! কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা পাও? 

আমি অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করি, বিশৃঙ্খলা কেন পাব? এরা কি মহা মহিম আল্লাহর সৃষ্টি নয়। তিনি তো মহাজ্ঞানী, সবকিছুর উপরে ক্ষমতাবান। 

তারপর মৌলবি সাহেব কিছু বলার আগেই সম্বিৎ ফিরে পাই আমি। তাই তো! কোথায় আমার বিশ্বাস? আমার ঈমান? আমি কেন হয়রান হব? 

এ সবকিছুর মালিক তো আল্লাহ, তিনিই তো সৃষ্টিকর্তা। জীবনের স্রষ্টা তিনি, মৃত্যুরও। তিনিই তো মৃত্যু দেন। তাহলে তা উদ্দেশ্যহীন কেন হবে? 

আমি হাঁটতে থাকি। গোধুলিবেলায় গাছের ফাকে লাল আর হলুদের মিশ্রিত ক্ষীয়মাণ আলো এসে মুখে লাগে। ইচ্ছে করে সারা শরীরে মেখে নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে স্বগতোক্তি করি, এই তো জীবন, এ তো পরীক্ষা। 

আমরা তো মানুষ। আমাদেরই এই রহস্যঘেরা জীবন। এ জীবনে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে। আছে হরেক রকমের প্রয়োজন। অর্থের প্রয়োজন, ক্ষমতার প্রয়োজন। জ্ঞানের প্রয়োজন আছে।  আছে পিতামাতা, আছে সন্তান, আত্মীয় স্বজন। এই তো আমরা। 

এ জীবনে দারিদ্র আছে, ধন সম্পদ আছে। লোভ আছে, ধৈর্য আছে। আছে অস্থিরতা, আছে তৃপ্তি। এ জীবনে আছে সব। 

এ রহস্যময় জীবনের স্রষ্টা আরও কত যে রহস্যময়। জীবনে দোষ গুণ সব দিয়েছে। দিয়েছে বুদ্ধি বিবেক। দিয়েছে তাকে উপলব্ধি করার মত জ্ঞান। আর দিয়েছে জীবনের জন্য বিধান, গাইডলাইন। 

অস্থিরতায় কেন ভুগি? জীবন উদ্দেশ্যহীন কেন হবে? মৃত্যু কেন জীবনের শেষ হবে? 

আমার স্রষ্টা বারবার বলে দিয়েছেন পরকালের কথা, পুরস্কারের কথা, শাস্তির কথা। বিচার দিবসের কথা। পুনরত্থানের কথা। কবরের জীবনের কথা। মৃত্যু জীবনের শেষ কেন হবে? মৃত্যু তো জীবনের শুরু। অনন্ত এক জীবন। 

দুনিয়ার এ জীবন তো ক্ষণিকের। ত্রিশ চল্লিশ কিংবা ষাট। কতটুকুই বা সময়। দেখতে দেখতেই আমরা শিশু থেকে যুবক হই, তারপর বৃদ্ধ। এ ক্ষুদ্র জীবনে কিসের এত মোহ! 

আমরা তো মানুষ, আমরা তো দুর্বল। অর্থ বিত্ত, ক্ষমতা, ভালোবাসা এসব কত কিছুর প্রয়োজন আমাদের। মাঝে মাঝে আমরা ভারসাম্য হারাই। লোভে পড়ি । বুঝতে পারি না। উপলব্ধি করার ক্ষমতা হারাই। সময়ের ছলনায় চলে যায় আমাদের সময়। আমরা  হোঁচট খাই। 

তাতে কি! 

আমরা আবার উঠে দাঁড়াব। দৌড়াতে না পারলে হাঁটব, দরকার হলে ভগ্নাংশের বেগে আগাব। আমাদের রব আছেন। আমরা ভুল স্বীকার করব, তওবা করব। আবার সামনে তাকাব। 

দুঃখ আসবে, কষ্ট আসবে, তাতে কি? আমরা এক অনাবিল প্রশান্তিতে থাকব। অন্তরের প্রশান্তি। গভীর রাতে আবার আমরা প্রশান্তির ডাক ডাকব। আমাদের রব শুনবেন। তিনি সবকিছু শুনেন এবং জানেন। 

আমরা পথ চলতে গিয়ে বার বার হোঁচট খাব। হঠাত মৃত্যু আসবে। ছোঁ মেরে আমাদের এক ভাইকে নিয়ে যাবে। রবের একত্ববাদ ঘোষণা করতে করতে ক্ষণিকের জীবন ত্যাগ করে অনন্ত জীবনের পথে ছুটবে। আমরা সমস্বরে বলে উঠব, ওয়াল্লাহি, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর এবং তার কাছেই আমরা ফিরে যাব। তুমি সফল। 

আমরা মৃত্যুকে কেন ভয় পাব? আমরা আমাদের রব আল্লাহকে ভয় পাই, তাকে ভালোবাসি। আমরা অতীত ভুলে সামনে তাকাব। 

আমরা মৃত্যুর মাঝে জীবন খুঁজব ইনশাআল্লাহ। আমরা সফলতা খুঁজব। এ দুনিয়ায়, ও দুনিয়ায়ও। আমরা ছুটব। আমাদের নেতার পিছনে ছুটব আমরা। সত্যিকারের নেতা। আমাদের হিরো। আল্লাহর রাসুল, মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সালাম। 

আমরা সাহাবাদের মত তারকা রাজির দেখানো পথে ছুটব। নতুন জীবনের স্বপ্নে এ জীবন সাজাব।  

আমাদের রব চাইলে আমরা আবার ভালো মানুষ হব। হাল ছাড়ব না। আমরা বাঁচব। ওপারের জীবনের লোভে এপারে আদর্শ জীবন গড়ব। 

আমরা কেন উদাসীন হব? কেন আমরা মৃত্যুকে ভয় পাব? ফরজ উপেক্ষা করার চিন্তা তো দুরে থাক, আমরা রাসুলের জীবনে আমাদের জীবন রাঙ্গাব। আচারে ব্যাবহারে কিংবা লেনদেনে, ভিতরে কিংবা বাহিরে, আমরা হব স্বচ্ছ। 

আমরা ছুটব। এ জীবনকে ছাপিয়ে, মৃত্যুকে ছাপিয়ে আমাদের সফলতা আসবে। মৃত্যু আমাদের কর্ম থামাতে পারবে না। আমরা এপার থেকে ওপারে ট্রান্সফারযোগ্য আমলের পাহার গড়ব। তারপর টুপ করে মৃত্যুর ফাঁক গলে একদিন ওপারে প্রবেশ করব। ইন শা আল্লাহ।

ক্ষণিকের লোভকে উপেক্ষা করে আমরা ছুটে চলব অনন্ত মহাকালের পথে, আমাদের রবের দিকে। 

পেশায় তড়িৎ প্রকৌশলী। মাঝে মাঝে কিছু লিখতে ইচ্ছা হয়। কিছু লিখি। তারপর আবার মুছে ফেলি। লেখা আর মুছে ফেলার মাঝে কিছু থেকে যায়। সেগুলোর জন্যই এখানে আসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top